বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ
তুরাগের বউবাজারে ফুডকোর্ট মার্কেট উচ্ছেদের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ কর্তৃক ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ম্যাগাজিন ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার; তিন শূন্যের ধারণার ওপর ভিত্তি করে পৃথিবী গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার তুরাগের বউবাজার মার্কেট উচেছদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ট্রাম্পের সঙ্গে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে ফেলতে পারবেন ড. ইউনূস সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে’ সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে  প্যারিস-বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র কার্যকরি কমিটি (২০২৪-২০২৬)গঠন ১০ নভেম্বর ২০২৪ শহীদ নুর হোসেন গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মহানায়ক : ডা. ইরান রাজধানী,তুরাগে ছেলের হাতে মা খুন অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না ডয়চে ভেলেকে বলেন, 

নড়াইলে গুড় সংগ্রহের জন্য পাতিল তৈরীতে পাল পাড়ায় ব্যাপক ব্যবস্ততা

 

নিউজ দৈনিক ঢাকার কন্ঠ 

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল 

 

নড়াইলের গুড় সংগ্রহের জন্য পাতিল তৈরীতে পালপাড়ায় ব্যবস্ততা। শীত এলেই খেজুরের রস ও খাটি খেজুরের গুড় সংগ্রহের জন্য পাতিল তৈরীতে জেলার বিভিন্ন কুমার পল্লীতে বাড়ে ব্যাপক ব্যাস্ততা। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, প্রতিটি কুমার পল্লীতে গুড় সংগ্রহের প্রয়োজনীয় উপকরণ ঠিলে কলস বাটি তৈরী করার জন্য ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বাড়ে ব্যবস্ততা। তারা ভোর থেকে মাটির পাতিল তৈরীর উপযোগী এটেল মাটি সংগ্রহ করে তা ভিজিয়ে ময়ান করে আঠালো ভাবে প্রস্তুত করে। এর পর তারা চাকার ছাচের মাধ্যমে শুরু করে খন্ড খন্ড পাতিল তৈরীর কাজ। তৈরীকৃত খন্ড পাতিলের অংশ রোদে শুকিয়ে দু-খন্ড পাতিলের অংশ জোড়া দেওয়ার পর পুর্ণাঙ্গ পাতিলের আকার ধারণ করে। এর পর তাতে রং করে শুরু করে পোড়ানোর কাজ।

পোড়ানোর পরই তৈরী হয় একটি পুর্নাঙ্গ মাটির পাতিল, যা খেজুরের রস ও গুড় সংগ্রহের জন্য হয় উপযোগী একটি পাত্র। আর এভাবেই পুরা শীতের মৌসুম জুড়ে পাল-পাড়া অর্থাৎ কুমার পল্লীতে চলে ব্যবস্ততা। মৌসুমী ব্যবস্ততা ছাড়া সারা বছরই তাদের থাকতে হয় বসে। তবুও জেলার কয়েকটি গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা বংশ পরম্পরায় বাপ-দাদার এ আদি পেশাটি আকড়ে ধরে আছেন। মৃৎ শিল্পী অনিমা পাল বলেন, প্রতিদিন তিনি ও তার স্বামী মিলে ৪০ থেকে ৫০টি ভাড় তৈরি করতে পারেন। মৃৎ শিল্পী অনিমেষ পাল ও তারক পাল বলেন, প্রতিটি ভাড় ১৫/২০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

আর ভাড় ও কলসী বিক্রির টাকা দিয়ে তারা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া ও সংসারের খরচ যুগিয়ে থাকে। পাল বাড়ী অর্থাৎ কুমার পল্লীর সাথে সাথে বেড়ে যায় গাছিদের পরিবারের ব্যস্ততা। আবহমান বাংলার প্রতিটি ঘরে-ঘরে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও ব্যাবস্ততা বেড়ে যায় দিগুন। ঠিলে ধুয়ে দে বউ-গাছ কাঁটতে যাব সন্ধে রস ঝেড়ে এনে জাউ রেন্ধে খাঁব, ঠিলে ধুয়ে দে বউ গাছ কাঁটতে যাব। এই প্রবাদটি শীতের আগমনে চিরায়ত বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে-মুখে ধ্বনিত হয় । কুঁয়াশার চাঁদরে মোড়ানো সকালের সোনালী সূর্য্যের মৃদু হাসি বাংলার মানুষকে জানিয়ে দেয় খেজুর রসের ঐতিহ্যে কথা। এসময় নড়াইলের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল জুঁড়ে শুরু হয় গাছিদের খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরীর অবিরাম প্রস্তুতি।

শীত আসলেই আবহমান বাংলার ঘরেঘরে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। প্রতি ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলি তৈরীর জন্য ঢেঁকিতে চাউলের গুড়া তৈরীর মহোৎসব। বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে সন্ধা হলেই একদিকে শুরু হয় কবি গান অন্য দিকে সন্ধে রস দিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন প্রকার পিঠা পুলিসহ পায়েশ তৈরীর ধুম।

 

Please Share This Post in Your Social Media

দৈনিক ঢাকার কন্ঠ
© All rights reserved © 2012 ThemesBazar.Com
Design & Developed BY Hostitbd.Com